কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের ‘কণ্ঠসদৃশ’ কথোপকথনের তিনটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা, প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদের তিনটি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় চিকিৎসা কর্মকর্তা; শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা স্থগিত করা হয়েছে। ওই বোর্ডগুলোর নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষার সময় ও তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় ‘ফারাহ জেবিন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের ‘কণ্ঠসদৃশ’ কথোপকথনের তিনটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলোর প্রথমটি ৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের, দ্বিতীয়টি ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড ও তৃতীয়টি ২ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের। অডিওতে কথা বলা কণ্ঠটি উপাচার্যের কি না, সেটি যাচাই করতে পারেনি প্রথম আলো। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কথোপকথনের ক্লিপগুলোতে এক চাকরিপ্রার্থীকে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের কারণ ব্যাখ্যা ও পরবর্তী নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত করার আশ্বাস দেন উপাচার্যের ‘কণ্ঠসদৃশ’ ওই ব্যক্তি। একই সঙ্গে প্রার্থীকে বোর্ডের প্রশ্ন সরবরাহ ও কীভাবে লিখতে হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সবকিছু ঠিক থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে বোর্ডের আয়োজন ও সম্পন্ন করতে টাকার বিনিময়ে বোর্ডে তিনজন সদস্য প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয় কথোপকথনে।
অডিও তিনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সম্প্রতি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের বিষয় নিয়ে নিয়োগপ্রার্থী ও বর্তমানে ওই বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানের সঙ্গে উপাচার্যের ‘কণ্ঠসদৃশ’ ওই ব্যক্তির কথা হয়। তবে অডিওতে অলিউর রহমানের কথা শোনা যায়নি।
গত ২৫ অক্টোবর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদন করেন অলিউর রহমানসহ মোশারফ হোসেন ও বিউটি মণ্ডল নামের আরও দুজন প্রার্থী। এ সময় বোর্ডে তিন প্রার্থী উপস্থিত না হওয়ায় বোর্ড স্থগিত হয়। পরে ২ ডিসেম্বর আবার বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। ২২ ফেব্রুয়ারি ওই নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই বোর্ড স্থগিত করল কর্তৃপক্ষ।