ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. রাজু (২৮) নামের বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নাগরভিটা সীমান্তের ৩৭৬ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাবপিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির ও বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন মিয়া আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত রাজু বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গড়িয়ালী গ্রামের মো. হবিবর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত আনুমানিক একটার দিকে রাজুসহ কয়েকজন নাগরভিটা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু চোরাচালানের উদ্দেশ্যে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ভারতের ১৫২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের তিনগাঁও বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা ওই ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজুর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই বিএসএফ সদস্যরা রাজুর লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যান।
ওসি ফিরোজ কবির বলেন, ‘রাজু নামের ওই যুবকের লাশ ভারতে ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে বলে জেনেছি।’
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহম্মদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগরভিটা সীমান্তে একটি হত্যাকাণ্ডের খবর আমরাও জেনেছি। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। পতাকা বৈঠক হলেই ঘটনার বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। এরপর অধিনায়ক (সিও) পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’