ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ বুধবার সন্ধ্যায়
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ বুধবার সন্ধ্যায়

ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, যাত্রীদের দুর্ভোগ

ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল চারটা থেকে যানজট শুরু হয়ে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। এতে দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননাসহ অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারতের সীমান্ত অভিমুখে আজ সকাল থেকে লংমার্চ শুরু করে বিএনপির তিন সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। বেলা দুইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রায় চার হাজার যানবাহন সরাইল বিশ্বরোড মোড় অতিক্রম করে। এতে বিকেল চারটার পর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ের তিন দিকে যানজট শুরু হয়। সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকা থেকে চান্দুরা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড় থেকে জেলা শহরের দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। বিকেল পাঁচটার পর সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে নাসিরনগর অভিমুখে সরাইল উপজেলা সদরের হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট লেগে যায়।

কামাল মিয়া নামের এক যাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে সরাইল উপজেলা সদর থেকে জেলা শহরে পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের জায়গায় তাঁর তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাকচালক মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শাহবাজপুর থেকে সরাইল কুট্টাপাড়া এলাকায় (১০ কিলোমিটার) পৌঁছাতে তাঁর সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা।

সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারগুব তৌহিদ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেলা দুইটা থেকে লংমার্চের যানবাহন যাওয়া শুরু করে। বিকেল চারটা পর্যন্ত চার হাজারের অধিক ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ও খোলা ট্রাক আখাউড়ার দিকে গমন করেছে। এর পর থেকেই যানজটের শুরু হয়। এখন যানজট কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে লংমার্চ ফেরার সময় আবার যানজট শুরু হবে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সরাইল, সদর, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর থানার পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।’