বরিশালের বানারীপাড়া পৌর শহরে চেম্বার খুলে নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখতেন মো. কুতুব উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি। করতেন অর্শ্ব–পাইলসের অস্ত্রোপচারও। দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা ছুটে আসতেন তাঁর কাছে। এভাবে দীর্ঘদিন তাঁর ব্যবসা চলার পর আজ সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জানা গেছে, কুতুব উদ্দীন ভুয়া চিকিৎসক। চিকিৎসাবিদ্যালয় তাঁর কোনো ধরনের সনদ নেই।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে তাঁকে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাবাসের আদেশ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে ছাড়া পান এই ভুয়া চিকিৎসক।
পুলিশ বলছে, আটক কুতুবুদ্দিন নড়াইল সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি পিরোজপুরের উপজেলায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, কুতুব উদ্দীন নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে বানারীপাড়া পৌর এলাকার জননী অপটিকস নামে একটি চশমার দোকানের পেছনে চেম্বারে খুলে অর্শ ও পাইলসের চিকিৎসাসহ অস্ত্রোপচারও করতেন। এ ছাড়া পাশাপাশি স্বরূপকাঠি পৌর শহর, আলকির হাট এলাকাতেও রোগী দেখতেন।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অন্তরা হালদার ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন। প্রথম আলোকে ইউএনও বলেন, তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, কুতুব উদ্দিন নিজেকে চিকিৎসক পরিচয়ে এসব চিকিৎসা দিলেও আসলে তিনি ভুয়া চিকিৎসক। পরে আজ সকালে বানারীপাড়া থানা-পুলিশের সহযোগিতায় জননী অপটিকসের ভেতরে চেম্বারে অভিযান চালিয়ে কুতুবুদ্দিনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছে চিকিৎসক হিসেবে সনদ দেখতে চাইলে তিনি চিকিৎসকের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
পরে ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া কুতুব উদ্দিনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্তি পান ওই ব্যক্তি।