সৌদিতে কাজ পায়নি ছেলে, দেশে আদম ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মরদেহ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার নবাবগঞ্জে এক আদম ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৌদি আরবে বসবাসরত এক প্রবাসীর বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে। নিহত ব্যক্তি হলেন হারুন অর রশিদ (৫৫)। তিনি নবাবগঞ্জের বারুয়াখলী ইউনিয়নের জাহানাবাদ এলাকার বাসিন্দা তাহের আলীর ছেলে। তিনি ঢাকার একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারুন অর রশিদ মারা যান। গত শনিবার রাতে নবাবগঞ্জের ছোট কাউনিয়াকান্দি গ্রামে তাঁকে মারধর করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হারুন অর রশিদ রাজধানীর একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি বিদেশে লোক পাঠাতেন। দেড় মাস আগে তিনি বারুয়াখলী ইউনিয়নের ছোট কাউনিয়াকান্দি গ্রামের তাহের আলীর ছেলে হারুনকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে পাঠান। কিন্তু হারুন সৌদিতে গিয়ে সঠিক কাজ পায়নি বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।

নিহত হারুনের ছেলে তানভীর হোসেন বলেন, ‘১৮ নভেম্বর (শনিবার) রাত নয়টার দিকে আমার বাবা অসুস্থ মাকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছোট কাউনিয়াকান্দি গ্রামে পৌঁছানো মাত্র তাহের ও তাঁর ছেলে রতন লাঠিসোঁটা, রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এ সময় বাবার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তাহের ও রতন পালিয়ে যান। আশপাশের লোকজন বাবাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বাবাকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। আমার বাবাকে যাঁরা নির্মমভাবে মারধর করে হত্যা করেছেন, আমরা তাঁদের বিচার চাই।’

ঘটনার পর থেকে তাহের ও রতন পলাতক। এ জন্য তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, নিহত হারুন অর রশিদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।