নাফিসা আক্তার ও তাঁর দুই শিশুসন্তানের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পর স্বজনদের আহাজারি। আজ শুক্রবার দুপুরে
নাফিসা আক্তার ও তাঁর দুই শিশুসন্তানের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পর স্বজনদের আহাজারি। আজ শুক্রবার দুপুরে

নোয়াখালীর চারজনের মৃত্যু, মা ও দুই ছেলের দাফন

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনটির অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া চারজনের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এর মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। আজ শুক্রবার দুপুরে ওই তিনজনকে নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়েছে।

দাফন করা তিনজন হলেন নাফিসা আক্তার (২৮) ও তাঁর দুই শিশু ছেলে আরহান (৭) ও আদিয়াত (৩)। তাঁদের বাইরে মারা যাওয়া নোয়াখালীর অপর বাসিন্দা হলেন মো. আশিক (৩০)। তাঁর বাড়ি সেনবাগের ডমুরুয়া ইউনিয়নের মঈশা গ্রামে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাফিসা আক্তার তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে ওই ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্বাসকষ্টে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে আজ দুপুরে তিনজনের লাশ নোয়াখালীতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁদের লাশ দেখতে সেখানে স্বজনেরা ভিড় করেন। স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় সেখানে।

নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল বারী আলমগীর জানান, নিহত নাফিসা আক্তার স্থানীয় বাসিন্দা ছায়েক আহমেদের স্ত্রী। দুই সন্তান ও স্ত্রী নাফিসা আক্তারকে নিয়ে ছায়েক আহমদ ঢাকায় বসবাস করতেন। জানাজা শেষে বেলা আড়াইটার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে নাফিসা ও তাঁর দুই ছেলেকে দাফন করা হয়েছে।

আছমা আক্তার নামের স্থানীয় এক নারী বলেন, দুই ছেলেকে নিয়ে প্রায়ই গ্রামের বাড়িতে আসতেন নাফিসা। দুই শিশুসন্তানসহ তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।