কুড়িগ্রামে এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিবসহ ৩ শিক্ষক গ্রেপ্তার

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

চলমান এসএস‌সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কেন্দ্র সচিবসহ তিন স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভূরুঙ্গামারীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (ভূরুঙ্গামারী সার্কেল) মোরশেদুল হাসান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার শিক্ষকেরা হলেন—ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. লুৎফর রহমান, সহকারী শিক্ষক মো. জোবাইর হোসেন ও মো. রাসেল। এর আগে গতকাল রাতে নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আদম মালিক চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ছাড়া নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক হামিদুর রহমান ও মো. সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।

এদিকে আজ বুধবার সকালে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চারটি বিষয়ের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ সকালে চারটি পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়। বিষয়গুলো হলো—গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন।

তবে শিক্ষা বোর্ডের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অনিবার্য’ কারণে ওই চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন—এই চার বিষয়ের পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে। এই চার বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়গুলোর পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম বলেন, কুড়িগ্রামে গতকাল প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ও সচিব মো. জহির উদ্দিন এসেছেন। এসে ভূরুঙ্গামারীতে অসংগতি পেয়েছেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার সময় নেহাল উদ্দিন বা‌লিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে গতকাল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, সচিব মো. জহির উদ্দিনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে গতকাল রাতে এ ঘটনায় মামলা করা হয়।

জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার মোরশেদুল হাসান বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।