পাটুরিয়ায় ফেরিডুবির ষষ্ঠ দিনে ভেসে উঠল নিখোঁজ ইঞ্জিন মাস্টারের লাশ

ফেরিডুবির ষষ্ঠ দিনে পদ্মা নদীতে ভেসে উঠে নিখোঁজ ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবিরের লাশ। খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত হুমায়ুনের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম (মধ্যে)। সোমবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরির ইঞ্জিন মাস্টার নিখোঁজ হুমায়ুন কবিরের (৪৫) লাশ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে তাঁর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

হুমায়ুন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মাটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে। তিনি পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার ছিলেন। গ্রামের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেল চারটার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পাটুরিয়া থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার ভাটিতে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে এক ব্যক্তির লাশ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। লাশ উদ্ধার করে পাটুরিয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

এদিকে অপেক্ষায় থাকা মৃত হুমায়ুন কবিরের স্বজনেরা আজও পাটুরিয়ায় দুর্ঘটনাস্থলে আসেন। ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বড় ভাই হুমায়ুনের লাশ শনাক্ত করেন।

গত মঙ্গলবার রাত ১২টার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি রজনীগন্ধা। ফেরিটিতে ৯টি মালবাহী যানবাহন ছিল। রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে ফেরিটি। পরের দিন সকাল আটটার দিকে ফেরিটি ডুবে যেতে থাকে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ২০ জনকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন হুমায়ুন কবির।