দিনাজপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আজ রোববার শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় হাসপাতাল মোড়ে
দিনাজপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আজ রোববার শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় হাসপাতাল মোড়ে

দিনাজপুরে হুইপ ইকবালুর রহিমের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন

দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একই সময়ে হুইপের বাসার সামনে পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও এগুলোতে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলি নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে। পুলিশের ছররা গুলির আঘাতে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার কথা জানা গেছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির দিনাজপুর প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ ও ক্যামেরা পারসন আবু বক্কর সিদ্দীক বিক্ষোভকারীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা একটার দিকে দিনাজপুর শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসার নিরাপত্তা প্রহরী সুমন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্যারের বাড়ির জিনিসপত্র পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। নিচতলায় ও দ্বিতীয় তলায় সব জায়গায় আগুন জ্বলছে।’ তিনি বলেন, বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল যাচ্ছিল। হঠাৎ প্রধান ফটকের ওপর দিয়ে লাফ দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন এক শ জনের মতো ব্যক্তি। তাঁরা হুড়মুড় করে সবাই ঢুকে পড়েন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে দিনাজপুর শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মোড়ে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও দেখা গেছে। হাজারো মানুষের একটি বিক্ষোভ মিছিল পলিটেকনিক মোড় থেকে বালুবাড়ি শহীদ মিনার মোড় হয়ে জোড়া ব্রিজের গোড়ায় আসে। এরপর পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই হুইপের বাড়ির ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি বের হলেও সেখানে বাধা দেওয়া হয়েছে।

দিনাজপুর শহরের বুটি বাবুর মোড়ে রোববার বেলা একটার দিকে পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে

এদিকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও সিভিল সার্জনের কক্ষের দরজা-জানালা।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, আহত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাঁকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।