আইনজীবী সাইফুল ইসলাম
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবীর ভাইয়ের মামলায় ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে তাঁর ভাইয়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। আইনজীবীদের মারধর, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা করা হয়।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকাল নয়টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

১০ আসামি হলেন, চন্দন দাস, রুমিত দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য, আমান দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও মনু দাস।

আদালত সূত্র জানায়, ১০ আসামির মধ্যে চন্দন ও রাজীব সম্প্রতি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা মারধর করেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে তাঁর ভাইয়ের করা আইনজীবীদের ওপর হামলা, আদালত প্রাঙ্গণে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তিনি আরও বলেন, সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ভাই জানে আলম বাদী হয়ে গত ৩০ নভেম্বর ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ের ৫০০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ওই মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে চিন্ময় দাসের আইনজীবীসহ ৭০ জন আইনজীবী রয়েছেন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হওয়া ছয় মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মাথায় ছাই রঙের হেলমেট, কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন। হাতে ছিল কিরিচ। ঘটনার সময় রিপনের হাতে ছিল বঁটি। পরনে ছিল নীল রঙের গেঞ্জি, জিনস প্যান্ট ও মাথায় লাল হেলমেট।