বরিশাল-৩ আসনে রাশেদ খান মেননের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

রাশেদ খান মেনন
ফাইল ছবি

বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসন থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

মেননের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টি বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টি বাবুগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শাহিন হোসেনসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোজ্জাম্মেল হক বলেন, ‘বাবুগঞ্জ থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। জোটের সিদ্ধান্তে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তাঁর (রাশেদ খান মেনন) প্রতীক কী হবে সে সিদ্ধান্ত হয়নি। ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। তাই ওই দিন বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’

ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা জানান, জোটের হয়ে সমর্থন পেলে নৌকা প্রতীক, আর জোটের বাইরে নির্বাচন করলে দলীয় প্রতীক হাতুড়ি নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন মেনন। তবে এ আসনে এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ওয়ার্কার্স পার্টি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছেন। তিনি এ আসন থেকে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। অপর দিকে এ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি। দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন ঢাকা-৮ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। মেননের আসনে বাহাউদ্দিন নাছিমকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করায় এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয় জোটে। এ জটিলতার মধ্যেই মেননের পক্ষে বরিশাল-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন দলটির নেতারা।

বরিশালের বাবুগঞ্জের বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে রাশেদ খান মেননের পৈতৃক বাড়ি। জাতীয় রাজনীতির বর্ষীয়ান এই নেতা ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালে এ অঞ্চল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।