ময়মনসিংহ নগরের পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ নগরের ডি এন চক্রবর্তী সড়ক ও গোহাইলকান্দি এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাতনামা লাশ দুটি উদ্ধার করে। অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে পৃথক দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একটি চক্রই ঘটিয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডি এন চক্রবর্তী সড়কে উদ্ধার হওয়ার নিহত ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান (৫২)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাটি বারেবার পাড় গ্রামে। গোহাইলকান্দি এলাকায় উদ্ধার হওয়া নিহত ব্যক্তির নাম সাদেক মিয়া (৩৫)। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার শষ্যমালা গ্রামে। হাবিবুর রহমান ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সাদেক ইজিবাইক চালাতেন।
হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতেই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। হাবিবুর রহমানের ছেলে শেখ ফরিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। অপর মামলার বাদী নিহত সাদেকের ভাই মুনতাজ। দুই মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ নগরের জামতলা এলাকার অনন্ত কুমার দে (১৯), মামুন (১৯) ও কাজী মো. মাহিন বাদশা (১৯)।
পুলিশ জানায়, ঈদের আগের রাতে তাঁরা দুজনই গাড়ি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছিলেন। এর মধ্যে ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে নগরের ডি এন চক্রবর্তী সড়কে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর নগরের গোহাইলকান্দি এলাকায় আরও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। লাশ দুটি উদ্ধারের পর ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভুঁঞাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ওই দুই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বিকেলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।