খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম বলেছেন, ছাত্র ও জনতার বিজয় অনেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। অনেকে লুটপাট করছে। এরা তাদের লোক, যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। বিএনপির নেতা-কর্মীদের এ ব্যাপারে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।
বুধবার বিকেলে নগরের কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার বিজয় সমাবেশের দ্বিতীয় দিনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে মিলে খুলনার যে পুলিশ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীরা নানাভাবে প্রতারণা, অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন, তাঁদের ‘গণদুশমন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ রকম ৬৮১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম।
বিএনপির প্রকাশিত ওই ‘কালোতালিকায়’ সিটি মেয়র, সংসদ সদস্যসহ ৩৪১ জন রাজনীতিবিদ; খুলনা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ ২৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ৫৩ জন সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করা হয়।
বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম আরও বলেন, দলের কারও ক্ষেত্রে কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়ানোর সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে এ বিজয় ধরে রাখতে হবে, কোনোভাবেই তা নস্যাৎ হতে দেওয়া যাবে না।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্যসচিব শফিকুল ইসলাম, জেলা সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান, স ম আ রহমান, সৈয়দা রেহেনা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম, একরামুল হক, মাসুদ পারভেজ, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী, ফকরুল আলম, সদর থানার আহ্বায়ক কে এম হুমায়ুন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানার আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, খালিশপুর থানার আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর থানার আহ্বায়ক মুর্শিদ কামাল, খানজাহান আলী থানার আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান, সদর থানার সদস্যসচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানার সদস্যসচিব সাজ্জাদ আহসান, খালিশপুর থানার সদস্যসচিব হাবীবুর রহমান বিশ্বাস, দৌলতপুর থানার সদস্যসচিব শেখ ইমাম হোসেন, খানজাহান আলী থানার সদস্যসচিব আবু সাঈদ হাওলাদার প্রমুখ।