নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলার একাংশ) আসনে একটি ভোটকেন্দ্রের পাশে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর (কাঁচি) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনবাগ উপজেলার কাদরা হামিদিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের পাশে এ ঘটনায় কাঁচি প্রতীকের এক সমর্থক গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ মো. জুয়েলকে (৩৫) সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ আলমের নৌকা প্রতীকের একদল সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে বেশ কিছু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কাদরা হামিদিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের দিকে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় একই এলাকায় থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়ার সমর্থকেরা তাঁদের বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কাঁচি প্রতীকের সমর্থক মো. জুয়েল পায়ে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া অভিযোগ করে প্রথম আলোকে বলেন, কাদরা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালান নৌকার সমর্থকেরা। তাঁরা এ সময় তাঁর কয়েকজন সমর্থককে আহত করেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন:
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি। কেন্দ্রের বাইরে দুই দলের সমর্থকেরা মারামারিতে লিপ্ত হন। এতে আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ভোট গ্রহণ স্বাভাবিকভাবে চলছে।