পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মহানন্দা নদীর বালুচরে পুঁতে রাখা মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের জায়গীরজোত-কদমতলী এলাকায় মহানন্দা নদীর বালুচর থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিজিবির সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, নদীর ধারে হত্যার পর ওই ব্যক্তিকে বালুচরে পুঁতে রাখা হয়েছিল। লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডির একটি দল নিহতের আঙুলের ছাপসহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছে।
লাশের সুরতহালে লাশের মাথা, চোয়াল ও কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন (কাটা দাগ) পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জামিরুল ইসলাম বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজন জায়গীরজোত-কদমতলী এলাকায় মহানন্দা নদীর ধারে রক্ত দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিজিবিকে জানান। পরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুসন্ধান চালান। এ সময় বালুচরে কিছু কাঁচা বালু দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। সেখান থেকে বালু সরাতেই মানুষের হাতের আঙুল দেখা যায়। পরে পুলিশ ও সিআইডিকে খবর দিলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা বালুর নিচ থেকে শার্ট ও লুঙ্গি পরা অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর লাশটি স্থানীয় ব্যক্তিদের কেউ চিনতে পারেননি। এমনকি স্থানীয় কোনো ব্যক্তি নিখোঁজেরও খবর নেই।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা মহানন্দা নদীর বাংলাদেশি অংশের বালুচরে লাশটি দিয়ে পুঁতে রাখা ছিল। প্রাথমিক সুরতহালে লাশের মাথায়, চোয়ালে ও কানে নিচে আঘাতের চিহ্ন (কাটা দাগ) পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর বালুর নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। লাশের পরিচয় পেতে সিআইডির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।