বুকে জড়ানো অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল মা-ছেলের লাশ

রুবিনা আক্তার ও তাঁর ছেলে জিহাদ
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে মা–ছেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সন্তানকে বুকে জড়ানো অবস্থায় মরদেহ দুটি বিছানায় পড়েছিল। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলার প্রশিকা মোড় এলাকায় ওই বাড়ির তালা ভেঙে লাশ দুটি দেখতে পান স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ আংশিক পচন ধরা লাশ দুটি উদ্ধার করে।

মারা যাওয়া দুজন হলো শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলামের মেয়ে রুবিনা খাতুন (২২) ও রুবিনার ছেলে মো. জিহাদ (৪)। পাঁচ দিন ধরে তাঁদের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।

শ্রীপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহগুলো স্বজনেরা উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। বিছানায় মা ও সন্তানের মরদেহ দুটি জড়াজড়ি করে পড়েছিল। কয়েক দিনের পুরোনো হওয়ায় দুটি মরদেহেই পচন ধরেছে। শিশুসন্তানের মরদেহে কিছুটা বেশি পচন ধরেছে।

রুবিনার বাবা ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর উপজেলার মো. ঝুমন মিয়ার সঙ্গে সাত বছর আগে রুবিনার বিয়ে হয়। মেয়ে ও জামাতার থাকার জন্য প্রশিকা মোড় এলাকায় বাড়ি করে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই সন্তানসহ তাঁরা থাকেন। ঝুমন শ্রীপুরে নয়নপুর এলাকায় একটি কারখানায় চাকরি করেন। কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। তাই ঝুমন কয়েক দিন ধরে বাড়িতে না ফিরে অন্য কোথাও থাকছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকে মেয়ে রুবিনার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁরা। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে বাড়িতে মেয়ের থাকার ঘরে খোঁজ করতে যান। সেখানে দরজায় তালা দেওয়া ছিল। সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মেয়ে ও নাতির মরদেহ দেখতে পান তাঁরা।

গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মো. আজমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুবিনার স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনার কারণ এখনো অস্পষ্ট। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।