বরিশাল আদালত চত্বরে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের দুই সমর্থককে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দুপুরের পর এ ঘটনা ঘটে।
জাহিদ ফারুক বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তাঁকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ৪ আগস্ট বরিশাল নগর বিএনপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় হওয়া একটি মামলার প্রধান আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, জাহিদ ফারুককে আজ বরিশালের আদালতে হাজির করা হবে, এমন খবরে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি–সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতে অবস্থান নেন। দুপুর থেকে তাঁর সমর্থক কয়েকজন নেতা-কর্মী আদালত চত্বরে উপস্থিত হন। খবর পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুপুরের দিকে আদালত চত্বরে যান। সেখানে শাহরিয়ার শাকিব ওরফে রাজীব নামের জাহিদ ফারুকের এক সমর্থককে মারধর করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিকেল চারটার দিকে আদালতে যান বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জাহিদ ফারুকের সমর্থক মো. জয়নাল আবেদীন হাওলাদার। এ সময় আদালত চত্বরে একদল যুবক তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। এতে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে তিনি দৌড়ে আদালতের ভেতরে আশ্রয় নেন।
জয়নাল আবেদীন হাওলাদার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকেসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। সেই জামিনের কাগজ আদালতে জমা দেওয়ার জন্য বিকেল চারটার দিকে জেলা জজ আদালতে গেলে বিএনপি–সমর্থিত একদল যুবক তাঁর ওপর হামলে পড়েন। তাঁরা তাঁকে মারধর করতে থাকেন। তাঁর সঙ্গে থাকা শ্রমিকদের বিল বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ছিল। সেসব টাকা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে তিনি যেকোনোভাবে তাঁদের থেকে রক্ষা পেয়ে আদালতের ভেতরে আশ্রয় নেন।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আদালত হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তার জায়গা। সেখানে যদি এভাবে হামলা হয়, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়?’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামলা হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। আমি ঢাকায় আছি। বিস্তারিত না জেনে বলতে পারব না।’
এদিকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে জাহিদ ফারুককে আদালতে হাজির করা হয়।