সিলেট নগরের বন্দরবাজারের লালবাজারে আজ বুধবার সকালে বিশাল আকারের বাগাড় মাছ বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে। সেটি দেখে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। মাছটির ওজন ১২০ কেজি বলে জানান বিক্রেতা বিলাল মিয়া। আস্ত মাছের ক্রেতা না পেয়ে বিক্রেতা মাছটি কেটে প্রতি কেজি দুই হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এই হিসাবে মাছটি বিক্রি করে তিনি ২ লাখ ৪০ টাকা আয়ের আশা করছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকেও বাগাড় মাছটি বাজারে তুলেছিলেন বিলাল মিয়া। আড়াই লাখ টাকা দাম হাঁকলে তখন আস্ত মাছের ক্রেতা পাননি তিনি। অবশেষে তিনি মাছটি আজ সকালে কেটে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
বিলাল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে জেলেদের জালে গতকাল ভোরে এ বড় বাগাড় মাছটি ধরা পড়ার খবর পেয়ে তিনি যোগাযোগ করেন। পরে তিনি মাছটি কিনে এনেছেন। বাজারে আনার পর বড় বাগাড় মাছ দেখতে অনেকে ভিড় করতে শুরু করেন। অনেকে দাম জানতে চান। কিন্তু সামর্থ্যবান ক্রেতার সন্ধান পাচ্ছিলেন না। মাছটি কেটে বিক্রি করা হলে অনেকে কিনতে আগ্রহী বলে জানান। অনেকে মুঠোফোন নম্বরও দিয়ে যান। অবশেষে আজ সকালে কেটে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি।
বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী বিপন্ন প্রাণী ধরা বা কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ।
কত টাকায় মাছটি কিনেছেন প্রশ্নে তিনি ক্রয়মূল্য জানাতে চাননি। এদিকে দুপুরে আবারও কথা হলে বিলাল জানান, সকালে মাছ কাটার পর প্রায় ৮০ কেজি মাছ তালিকা করে বিক্রি করে ফেলেছেন। এখন সামান্য কিছু আছে। এর থেকে তিনি নিজের জন্য কিছু রেখে বাকিটুকু বিক্রি করবেন।
শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা মহসিন আদিব এর আগেও বিলাল মিয়ার কাছ থেকে বড় বাগাড় মাছ কিনেছিলেন। তাঁকে খবর দিলে আজও তিনি বিলালের কাছ থেকে পাঁচ কেজি বাগাড় মাছ কিনেছেন। তিনি ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজিতে এই পাঁচ কেজি কিনেছেন বলে জানান।
বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিলে বাগাড়কে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী বিপন্ন প্রাণী ধরা বা কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএনের লাল তালিকায়ও রয়েছে বাগাড়ের নাম।