শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা

নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রোমান মিয়া নামের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে নিহত রোমান মিয়ার খালা মোসা. রিনা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবায়ের হোসেন প্রথম আলোকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত রোমান মিয়া (১৭) উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসনকেন্দ্রের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে পুনর্বাসনকেন্দ্রের নব কিশলয় উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গত কয়েক দিনে নারায়ণগঞ্জের চারটি থানায় চারটি হত্যা মামলা হয়েছে। চারটি মামলারই প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, গোলাম দস্তগীরের ছেলে গাজী গোলাম মূর্তজা, পাটমন্ত্রীর পিএস এমদাদুল হক, ফিরোজ ভূঁইয়া, সদ্য সাবেক রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নাম আছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সন্ধ্যায় চনপাড়ায় ছাত্র-জনতার একটি আনন্দমিছিল বের হয়। মিছিলকে পণ্ড করতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর ও গোলাম মূর্তজার নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এ সময় নিহত রোমানের গলা, ঘাড়, হাত, বুক ও পিঠে কয়েকটি গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিনা ময়নাতদন্তেই তাকে দাফন করা হয়।

মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক জোবায়ের। তিনি বলেন, ‘আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি। ঘটনার সময় বিনা ময়নাতদন্তেই নিহত রোমানকে দাফন করা হয়েছিল। আমরা কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করব।’