শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা পেয়ে গত ২১ জানুয়ারি দলে ফেরেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। দলে ফেরার ঠিক পাঁচ মাস পর আবারও স্থায়ী বহিষ্কৃত হলেন তিনি। স্থায়ী বহিষ্কার নিয়ে গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত তিনি কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। রাত আটটা পর্যন্ত তিনি মায়ের জন্য প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।
আজ মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় নিজের বাসভবনে জাহাঙ্গীর আলম তাঁর স্থায়ী বহিষ্কার ও মায়ের নির্বাচনের বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
দল থেকে বহিষ্কারের আগে সম্পাদকমণ্ডলীর সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল সকালে জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানি না বা কেউ জানায়নি।’ কোনো অবস্থাতেই তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাবেন না জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার মা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে, তাই আমাকে তার পাশে থাকতেই হবে। আমি এবং আমার মা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব।’
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তবে নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর দলের কার্যনির্বাহী সংসদ জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা একটি চিঠি ২১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর আলম হাতে পান। জাহাঙ্গীর আলমকে শর্ত সাপেক্ষে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী ও শৃঙ্খলাভঙ্গ না করার শর্তে তাঁকে ক্ষমা করা হয় বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল।
এবারের গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম নিজে ও তাঁর মা স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। খেলাপি ঋণের কারণে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও তাঁর মায়ের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে জাহাঙ্গীর আলম তাঁর মায়ের টেবিলঘড়ি প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলে ফেরার প্রায় পাঁচ মাস পর আবারও জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।