বরিশালে লুডু খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে রমজান ব্যাপারী (১৪) নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরের নথুল্লাবাদে লুৎফর রহমান সড়কে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের এই ঘটনায় দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত রমজান ব্যাপারী ওই এলাকার হাজেরা খাতুন স্কুলসংলগ্ন এলাকার ভাড়াটে মো. বাদল ব্যাপারীর ছেলে। সে পেশায় রিকশাচালক ছিল।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নগরের বিমানবন্দর থানার পুলিশ দুই কিশোরকে আটক করেছে। তারা হলো মো. রিফাত (১৫) ও মো. নয়ন (১২)। তারা দুজনও পেশায় ইজিবাইকের চালক।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত রমজান এবং হামলাকারীরা সবাই বন্ধু। কেউ রিকশা এবং কেউ ইজিবাইক চালাত। কাজ শেষে গতকাল রাতে তারা একসঙ্গে লুডু খেলছিল। এ সময় খেলা নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব হয়। তখন নয়ন ও রিফাত মিলে রমজানকে মারধর করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে রাত ১২টার দিকে তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত একটার দিকে হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
রমজানের বড় ভাই নয়ন ব্যাপারী জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ডাবেরকুল গ্রামে। ছয় মাস আগে মা-বাবার সঙ্গে বরিশালের নথুল্লাবাদ লুৎফর রহমান সড়কের ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে রমজান। লেখাপড়া না করায় রিকশা চালাত সে।
নয়ন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লুডু খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় রমজান ও তার বন্ধুদের। এরপর তারাবিহর নামাজের সময় বাইরে বের হয় রমজান। হাজেরা খাতুন স্কুলসংলগ্ন মাঠে তাকে একা পেয়ে মারধর এবং মাথায় আঘাত করে রিফাত, নয়নসহ তিনজন। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান নয়ন।
বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, রমজানকে হত্যার ঘটনায় দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তারা দুজন ইজিবাইকের চালক। ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মারধরে কিশোর রমজান মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত পেয়েছিল। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।