মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংযুক্ত আবর আমিরাতে বিক্ষোভের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাক্ষ্য–প্রমাণ নিয়ে যেভাবে তাৎক্ষণিক বিচার হয়েছে, বাংলাদেশেও সেভাবে অপরাধীদের দ্রুত বিচার হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিওতে এই সন্ত্রাসীদের চেহারা ধরা পড়েছে। আন্দোলনের সময় মাদারীপুরের খাদগী এলাকায় পুড়িয়ে দেওয়া ডিপোর ৩২টি বাস ও পেট্রলপাম্প পরিদর্শন শেষে আজ শনিবার দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের মধ্যে জঙ্গি কোথায় লুকিয়ে আছে, সেটা বলা যায় না। দৃশ্যমান জঙ্গি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিদেশি মদদদাতা, বিদেশি প্রভুদের মদদে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়, সেগুলো একবারে নির্মূল করা সম্ভব হয় না। ভালো মানুষ যারা, তারা ভালো চিন্তা করে। খারাপ মানুষের চিন্তা মন্দ হয়।
বিগত দিনে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন যেভাবে শাজাহান খান প্রতিহত করেছেন, সেই ক্ষোভেই দুষ্কৃতকারীরা তাঁর মালিকানাধীন যানবাহন ও পেট্রলপাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, যে যানবাহনে সাধারণ জনগণ চলাচল করে, এগুলো স্বাভাবিক মানুষ কখনোই ক্ষতি করতে পারে না। এটা প্রতিহিংসার জের, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ১৯৭১ সালে যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এ দেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছিল; তেমনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে ১৯৭১ সালের ঘটনার হুবহু মিল আছে। এই হামলাকারী ব্যক্তিরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, মাদারীপুরের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান, মাদারীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার প্রমুখ।