বিএনপির ডাকা চতুর্থ দফায় সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিন বগুড়ায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সকাল থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বনানী-লিচুতলায় বাইপাস সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাতটার পর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদারের নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের লিচুতলা দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে অবস্থান নেন। ফাঁকা মহাসড়ক অবরোধ করে নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও সেখানে বিক্ষোভ চলছিল। কাছেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকলেও তাঁরা অবরোধকারীদের বাধা দেননি।
নেতা-কর্মীরা স্লোগানে বলছিলেন, ‘আওয়ামী লীগের কবর হবে, অবরোধে বাধা দিলে’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘গুলি করে অবরোধ, বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি।
মহাসড়কে অবরোধের সমর্থনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার, বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবু হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। পুলিশ উসকানিমূলকভাবে কর্মসূচি পালনে বাধা দিলেও নেতা-কর্মীরা এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়বেন না।’
এদিকে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে বগুড়ার দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের সাবগ্রাম এলাকায় কিছুক্ষণের জন্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে আজ ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কের মাটিডালি থেকে তিনমাথা হয়ে বনানী লিচুতলা মোড় ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে সিএনজি ও ইজিবাইকের মতো ছোট যানবাহন চলাচল করলেও দূরপাল্লার এবং আন্তজেলার কোনো বাস-কোচ চলাচল করছে না। বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, সকাল থেকে মহাসড়কে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কোথাও অবরোধ সমর্থকদের দেখা যায়নি। সাবগ্রাম এলাকায় অবরোধ সমর্থকেরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ যাওয়ার আগেই গা ঢাকা দিয়েছেন।