অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা বেগমের (৪২) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সেলিম রেজা বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লায় থাকেন। বর্তমানে তিনি চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
মামলার এজাহার ও দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেলিম রেজা ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদের বিবরণী তলব করা হয়। অনুসন্ধান করে দেখা যায় সেলিম রেজা স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪–এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া তিনি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪–এর ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে আফরোজা বেগম সম্পদবিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন ও ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে সেলিম রেজা বলেন, ‘আমার সব সম্পদের তালিকা করে দুদক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব আয়কর বিবরণীতেও উল্লেখ আছে। মামলার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’
দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের দীর্ঘ অনুসন্ধানে সেলিম রেজা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।’