বাগেরহাটে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আট সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুস সামাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

রায় ঘোষণাকে ঘিরে আদালতপাড়ায় নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। রায় শোনার জন্য শত শত মানুষ এজলাসের সামনে ভিড় করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আকাশ মোল্লা, কবিরুল ও মিজানুর রহমান নামের তিনজনকে তিনটি ধারায় আট বছর; জহিরুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান ও মোর্শেদ আলম নামের তিনজনকে পাঁচ বছর এবং সাইফুল ও তরিকুল ইসলামকে দুটি ধারায় দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শহীদুজ্জামান। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন খান মোহাম্মদ বাদশা ও সাহেবুর রহমান।

রায় ঘোষণা শেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের জেলা কারাগারে নেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, নাশকতার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী এলাকার সাফায়েত শেখের বাগানের পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে অবস্থান নেন জেএমবি সদস্যেরা। সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযানে গেলে জেএমবি সদস্যেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করেন। পুলিশ গুলি ছুড়ে তাঁদের ধাওয়া করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা পালিয়ে যান। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, চারটি হাতবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও সংগঠনটির বেশ কিছু জিহাদি বই জব্দ করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান বলেন, ওই ঘটনায় ওই দিন কচুয়া থানার উপপরিদর্শক আনসার উদ্দিন খান বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। কচুয়া থানার তৎকালীন পরিদর্শক হুমায়ূন কবির খান তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক মো. আতিকুস সামাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের জেলা কারাগারে নেন বলে জানান আইনজীবী শহীদুজ্জামান।