সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ২ ভবনের মাঝে আগুন, আতঙ্ক

ওসমানী হাসপাতালের সামনে ১০ তলা ভবন ও জেনারেটর রাখার একতলা ভবনের মধ্যবর্তী জায়গায় শনিবার বেলা দেড়টার দিকে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানো হয়
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই ভবনের মাঝে হঠাৎ আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই হাসপাতালে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখন আগুনের উৎস খুঁজছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে হাসপাতালের সামনে ১০ তলা ভবন ও জেনারেটর রাখার একতলা ভবনের মধ্যবর্তী জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে আগুন লাগার খবরে সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা দেড়টার দিকে হঠাৎ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ১০ তলা ভবন ও পাশে জেনারেটর রাখার একতলা ভবনের মধ্যবর্তী জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এরপর সেখানে আগুন দেখা যায়। এ সময় ভবনটির পাশে সাদাপোশাকে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান।

হাসপাতালের পুলিশ বক্সে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জেলা পুলিশের সদস্য মো. জনি চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ১০ তলা ভবন ও পাশের ১ তলা ভবনের মধ্যবর্তী জায়গায় আগুন লেগেছিল। সেখানে ময়লা ও কিছু ঝাড়ু রাখা ছিল। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি ভবনের পাশেই ছিলেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান। আগুন ছড়িয়ে জেনারেটর কক্ষে পৌঁছালে ভয়াবহ অবস্থা হতে পারত।

এদিকে আগুনের খবরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া সাঈদ আহমদ বলেন, তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গিয়েছিলেন। তখন হঠাৎ অনেকে তাড়াহুড়া করে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। জানতে পারেন দুই ভবনের মাঝে আগুন লেগেছে। এর কিছুক্ষণ পর আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতাল এলাকায় ধূমপান করা নিষেধ। আজকের আগুন সিগারেটের উচ্ছিষ্ট থেকে লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেউ হয়তো সিগারেট খেয়ে দুই ভবনের মাঝে ফেলতে পারেন। এ জন্য হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, বের করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় নিভিয়ে ফেলা হয়। এ ব্যাপারে সতর্ক আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।