ঝালকাঠিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ–যুবলীগের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দালনের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঝালকাঠি শহরের কামারপট্টি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীদের  মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ রোববার পৌনে দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠি শহরের কামারপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল শুরু করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন। এতে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে ও মাথায় লাল ফিতা বেঁধে শহরের কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কামারপট্টির মোড়ে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা সরকারদলীয় সমর্থকদের একটি মিছিলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা শহরতলির কলেজ মোড়ের দিকে চলে যায়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির আছেন। তিনি ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা পরে ঝালকাঠি সাধনার মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে অধিকাংশ পুলিশ সদস্যকে নিরাপদ স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বর্তমানে শহরে পরিস্থিতি থমথমে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠির সমন্বয়ক রাইয়ান বিন কামাল বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারদলীয় নেতা–কর্মীরা হামলা করেন। এতে আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭–৮ জন আহত হয়েছে।’

ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দালনের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঝালকাঠি শহরের কামারপট্টি এলাকায়

ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, ‘এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিনা উসকানিতে আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। এতে আমিসহ অনেক নেতা–কর্মী আহত হয়।’

ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিতুল ইসলাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উভয় পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

ঝালকাঠি সাধনার মোড়ে সকাল ১০টায় টিআইবির পক্ষ থেকে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সড়কে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একটি বিআরটিসি বাস ও মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন।