নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এক নারী। আদালতে উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তরা সবাই খালাস পান। তবে মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত ওই নারীর নাম আসমা বেগম। তিনি উপজেলাটির পত্নীতলা গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে প্রতিবেশী মোস্তফা শাহসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন আসমা। পরে উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি ও পাঁচ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০২৩ সালের ২৮ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফলে সব আসামিকে খালাসের রায় দেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২–এর বিচারক।
অন্যদিকে আসমার করা মিথ্যা মামলার কারণে শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে, দাবি করে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী মোস্তফা শাহ। নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এ গত ২৫ জুলাই মামলাটির (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ [সংশোধনী/২০০৩] এর ১৭ ধারায়) সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। গতকাল মঙ্গলবার উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে আজ মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। পরে আদালতের রায়ে আসমাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২–এর বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আজিজুল হক ও আসামিপক্ষে আইনজীবী মকবুল হোসেন মামলাটি পরিচালনা করেন।