সিলেটে লাঠিসোঁটা হাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মিছিল। আজ সোমবার দুপুরে নগরের টিলাগড় এলাকায়
সিলেটে লাঠিসোঁটা হাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মিছিল। আজ সোমবার দুপুরে নগরের টিলাগড় এলাকায়

আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে সিলেটে লাঠিসোঁটা হাতে ছাত্রলীগের মিছিল

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে সিলেট নগরে লাঠিসোঁটা হাতে মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে নগরের টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বাঁশের লাঠি হাতে মিছিল শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। পরে মিছিল নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন তাঁরা।

এর আগে গতকাল রোববার রাতে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতারা। সেই হিসেবে আজ তাঁরা এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে লাঠি নিয়ে মহড়া দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বেলা দুইটার দিকে টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ থেকে বাঁশের লাঠি হাতে মিছিল শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হয়। পরে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে টিলাগড় মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমদসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নগরের রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা এলাকায় পৃথক মিছিল করেন।

মিছিলে ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলে ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই’, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘এই মুহূর্তে খবর এল, রাজাকারেরা পালিয়ে গেল’ এমন স্লোগান দেন।

এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া নগরের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তেমন চোখে পড়েনি। এর মধ্যে গতকাল রাতে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গতকাল দিবাগত রাতে কিছু শিক্ষার্থী স্লোগান দিলেও রাত একটার মধ্যেই হলে ফিরে যান। তবে আজ নতুন করে তাঁরা কোনো কর্মসূচি করেননি।