চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে তেলবাহী ট্রেনের আটটি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার আনসারবাড়িয়া রেলস্টেশনের কাছে ডাউন সিগন্যাল পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
এ দুর্ঘটনার কারণে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে, বেনাপোল এক্সপ্রেস ও সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনে এবং সীমান্ত এক্সপ্রেস কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা রেলস্টেশনে অবস্থান করছে।
জীবননগরের উথলী রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মিন্টু কুমার রায় জানান, বগুড়ার সান্তাহার তেল ডিপোয় জ্বালানি তেল খালাস করে ট্রেনটি খুলনা জংশনে ফিরছিল। পথে আনসারবাড়িয়া রেলস্টেশনের কাছে গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ৮টি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়। খুলনা ও পাবনার ঈশ্বরদী থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসেছে। আজ বুধবার সকাল সাতটায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার কারণ ও কতক্ষণ নাগাদ উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে, তা জানাতে পারেননি মিন্টু কুমার রায়।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) পাকশী থেকে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ সকাল থেকে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রতিনিধিদলের কেউ তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে চাননি।
চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, খুলনা থেকে ঢাকাগামী নকশীকাঁথা কমিউটার ট্রেনের চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল রাত ৩টা ১২ মিনিট এবং রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে। ট্যাংকার লাইনচ্যুতির কারণে কমিউটার ট্রেন ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ এবং কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস যশোর রেলস্টেশনে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের চুয়াডাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় ছিল রাত ১টা ১৭ মিনিটে, ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস রাত ১টা ৫৭ মিনিটে, ঢাকা থেকে যশোরের বেনাপোলগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ভোর ৪টা ২২ মিনিটে এবং রাজশাহী থেকে খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। এসব ট্রেনের চলাচল আটকে আছে।
চুয়াডাঙ্গার স্টেশনমাস্টার মিজানুর রহমান জানান, তেলবাহী ট্যাংকারগুলো উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে।