নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তাঁর দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে হালতি বিলের ছোট সেতু এলাকায় মারধর করে তাঁকে ফেলে রেখে যায়।
আহত ওই জামায়াত নেতার নাম মোশারফ হোসেন (৬৫)। তিনি নলডাঙ্গার খাজুরা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির এবং মহিষভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতের খাবার খেয়ে নিজ বাড়িতে শুয়ে ছিলেন মোশারফ হোসেন। রাত ১০টা ২ মিনিটের সময় কয়েক ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁর নাম ধরে ডাকতে থাকে। তিনি দরজা খুলে বের হওয়ামাত্র মুখোশধারীরা তাঁর মুখ-চোখ বেঁধে ফেলে একটি মাইক্রোবাসে তুলে সাধনগর-গৌরীপুর সড়ক দিয়ে রওনা হয়। মাইক্রোবাসটি হালতি বিলের ছোট সেতু এলাকায় গিয়ে থামে। এ সময় দুর্বৃত্তরা গাড়ি থেকে নামিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় একজন অটোরিকশাচালক তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে স্বজনেরা তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত মোশারফের সঙ্গে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন তাঁর ভাই গোলাম মোস্তফা। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর দুই হাত ও দুই পা ভেঙে গেছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফজলুর রহমানকে (৬৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। তিনিও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওই ঘটনার দুই দিন আগে উপজেলার নশরতপুর গ্রামের পল্লিচিকিৎসক ও ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আলাউদ্দিনকে একই কায়দায় পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ছাড়া সম্প্রতি বাশিলা গ্রামের ইসলামি বক্তা মো. নুরশাতকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মুখোশধারীরা।