সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী ওরফে দুলালের নির্বাচনী সভায় হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের নয়াবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকেরা এই হামলা করেছেন।
ইহতেশামুল হকের অনুসারীরা জানান, সন্ধ্যায় নয়াবাজার এলাকায় ট্রাক প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী সভা চলছিল। এ সময় কর্মী-সমর্থকেরা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। মঞ্চে তখনো ইহতেশামুল হক উপস্থিত হননি। সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুরের কিছু সমর্থক এসে হামলা চালান। তাঁরা বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন।
ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আমার কর্মী-সমর্থকেরা ভীত হয়ে পড়েছেন। আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা হিংসাত্মক আচরণ শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে আমার নির্বাচনী সভায় হামলা চালানো হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তিনি (ইহতেশামুল) মিথ্যাচার করছেন। উল্টো আমি জানতে পেরেছি, তিনি (ইহতেশামুল) তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি নিজের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার ফন্দি আঁটছেন। তিনি (ইহতেশামুল) নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ বিনষ্ট করছেন।’
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে যোগাযোগ করলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, ‘হামলার বিষয়টি লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে আমাকে কেউ জানাননি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
সিলেট-৩ আসনে মোট প্রার্থী সাতজন। অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ার হোসেন আফরোজ (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের মইনুল ইসলাম (মিনার) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলাম (ঈগল)।