কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি এম এম সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে ওই আসামির সাজা দিয়েছেন বিচারক। আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগের যাবতীয় সাক্ষ্য ও তথ্য সঠিক প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগের বিচার চলছে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে।
আইনজীবী এম এম সাজ্জাদ আলী আরও বলেন, ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কলেজে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যান আসামি জাহিদুল ইসলাম। এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে ফাঁকা ঘরে ঢুকিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। ধর্ষণের মুহূর্ত মুঠোফোনে ভিডিও করেন তিনি। এরপর ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে, বিভিন্ন ব্যক্তির মুঠোফোনে পাঠিয়ে ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করেন জাহিদুল। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৯ জুলাই কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেবহাটা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জল কুমার দত্ত ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট জাহিদুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ছিল। ২০২১ সালের ১ জুন সেটি খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।