ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দায়ের হওয়া দুটি মামলার একটি হয়েছে রাজাপুর থানায়, অন্যটি ঝালকাঠির দ্রুত বিচার আদালতে।
আওয়ামী লীগের ৩৪৪ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় মামলাটি হয় গতকাল রাতে। ২০২২ সালে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলাটি হয়েছে। রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন এই মামলার বাদী। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদ্য অপসারণকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহামুদকে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ৪৪ জন নেতা-কর্মী। মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৪ মে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আসতে শুরু করলে আসামিরা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। দলীয় কার্যালয়ে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে আসবাব, অন্য মালামালসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
অন্য মামলাটি গতকাল দুপুরে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদসহ ১৪ জনের নামে ঝালকাঠির দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন উপজেলার কেওতা গ্রামের মামুন হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এতে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন বিকেলে তাঁর বসতঘরে হামলা ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাই করে মারধর করেন আসামিরা। বাদীর আইনজীবী আল মাহাবুব সুমন জানান, ঝালকাঠি দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান রাজাপুর থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাটির কপি আদালত থেকে তিনি এখনো হাতে পাননি বলে জানান।