ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক আটকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক আটকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে

কোটা সংস্কার দাবি

মহাসড়ক আটকে আবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের এক দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এতে সড়কটির দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এদিকে বিকল্প পথে রাজশাহী বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করায় সেখানে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

এর আগে আজ বেলা ১১টায় বিভিন্ন হল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্যারিস রোডে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোডে অবস্থান করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে যোগ দেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরাও।

এর আগে ৪ ও ৬ জুলাই মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনসংলগ্ন উড়ালসড়ক এলাকার রেললাইন চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।

‘কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’- এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্রসমাজের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটাপদ্ধতির কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘আদায় হবে দাবি, পথ দেখাবে রাবি’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটা-বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটাপদ্ধতির ঠাঁই নাই’, ‘১৮-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘নারী যেখানে অগ্রসর, কোটা সেখানে হাস্যকর’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করো এক সাথে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশন করছেন।

গত সোমবার থেকে সারা দেশের আন্দোলনকারীরা এক দফা দাবি জানিয়ে আসছেন। দাবিটি হলো সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতি সংস্কার।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ আমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগের কাছে এখন আর কোনো প্রত্যাশা নেই। নির্বাহী বিভাগের কাছে আমাদের চাওয়া, যেন পুনরায় কোটাপদ্ধতি সংস্কার করে নতুন পরিপত্র জারি করা হয়।’