বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবসহ ৪৯৪ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ এম এম মাহবুব উদ্দিনসহ ৪৯৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় মাহবুব উদ্দিনসহ ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক

আনোয়ারুল হক ও পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন ওরফে মানিক।
ওসি হারুন অর রশিদ জানান, এ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দুজন বিএনপির কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজ রোববার দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের লোকজন আহত হওয়ায় দলটির পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। তাদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গতকাল বিকেলে জ্বালানি তেল ও পরিবহনভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সরকারের নানা অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সোনাইমুড়ীর ছাতারপাইয়া চৌরাস্তা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ।

বিএনপির মিছিলটি সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় সড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।