ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও শিশুসন্তান মারা যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন সেখানে জড়ো হন। সোমবার বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বাগজানা রেলগেট এলাকায়
ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও শিশুসন্তান মারা যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন সেখানে জড়ো হন। সোমবার বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বাগজানা রেলগেট এলাকায়

জয়পুরহাট

চার বছরের সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চার বছরের ছেলেসন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন এক মা। আজ সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে উপজেলার বাগজানা রেলগেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও ছেলে নিহত হন।

লাশের পাশে পাওয়া ভাঙা একটি মুঠোফোনের সূত্র ধরে তাঁদের দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হন স্থানীয় লোকজন। নিহত দুজন হলেন শাহনাজ বেগম (২৫) ও তাঁর চার বছরের ছেলে সিফাত হোসেন। তাঁদের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা গ্রামে। শাহনাজ বেগম ওই গ্রামের মনিরুজ্জামান ওরফে মিঠুর স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে শাহনাজ বেগম ছেলে সিফাত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাগজানা রেলগেট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। শাহনাজ কয়েকবার মুঠোফোনে কথাও বলেন। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাগজানা রেলগেট অতিক্রম করার পরপরই শাহনাজ সন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলে তাঁরা নিহত হন।

বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আরিফ হোসেন বলেন, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বাগজানা রেলগেটের ১০০ গজ দক্ষিণে এক নারী কোলে সন্তান নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। লাশের পাশে ভাঙা একটি মুঠোফোন পাওয়া যায়। ওই মুঠোফোনের সিমকার্ডটি অন্য একটি মুঠোফোনে তুলে সেভ করা নম্বরে কথা বলে দুজনের পরিচয় জানা যায়। নিহত মা ও ছেলের স্বজনেরা মুঠোফোনে জানিয়েছেন, দুপুরে ওষুধ কেনার কথা বলে শাহনাজ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কী কারণে ‘আত্মহত্যা’ করলেন কেউ বলতে পারেননি।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মক্তার হোসেন বলেন, পাঁচবিবির বাগজানা রেলগেট এলাকায় মা ও ছেলে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যা বলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন।