ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে এক মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহটি মাদ্রাসার মসজিদের মিনারের পাটাতনের নিচে ঝুলছিল। আজ শনিবার সকালে এ দৃশ্য দেখে এলাকার লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ছাত্রের নাম আরিফুল ইসলাম (১৫)। সে পাশের ত্রিশাল উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেকের ছেলে। আরিফুল আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না বলে জানিয়েছেন তার আত্মীয়স্বজন। এ ঘটনার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ওই কিশোরের বাবা আরিফুল।
থানা চত্বরে অপেক্ষমাণ আবদুল মালেক বলছিলেন, তাঁর ছেলে আরিফুল আড়াই মাস আগে নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরকামটখালী নুরুল উলুম কওমি মাদ্রাসার হেফজ শাখায় ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে সে কয়েকবার বাড়িতে গেলেও কোনো সমস্যার কথা তাঁকে জানায়নি।
পরশু দিনও আরিফুলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে জানিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবদুল মালেক বলেন, ‘তখনো সে (আরিফুল) ভালো আছি বলেছে। দুই দিন পর কী এমন হলো যে আমার বাবাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছে।’ নিহত কিশোরের চাচাতো ভাই সোহেল মিয়া বলেন, ‘বুঝতে পারছি না কীভাবে এমনটা হলো। আমার ভাই তো আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়।’
এ বিষয়ে জানার জন্য মাদ্রাসার প্রধান মো. এরশাদ হোসাইনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি থানা–পুলিশ তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে রাজি নই।’
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য ওই ছাত্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।