অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কাজী হানিফ আনসারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার সকালের দিকে তাঁকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৮ অক্টোবর দিবাগত রাত তিনটার দিকে চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা বাজারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দুই দিন পর ১০ অক্টোবর জামায়াতের আমির কাজী হানিফ আনসারীকে আসামি করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান। ওই মামলায় মো. কাজী হানিফ আনসারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে জামায়াতের নেতাকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে তাদের একটি কার্যালয় কে বা কারা ভাঙচুর করেছে। অথচ বিনা কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে জামায়াত নেতাদের হয়রানি করতে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, কদমতলা বাজারের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় ইউপির চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।