হামলা
হামলা

শ্রীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৭

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে সাত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোববার সকাল ১০টার দিকে মাওনা ইউপি কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

তবে চেয়ারম্যানের পক্ষের একটি সূত্র জানায়, প্রথমে চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এর জেরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চেয়ারম্যানের লোকজনও আহত হয়েছেন। তবে এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন মোক্তারুল করিম শামীম মোড়ল, জিহাদ মোড়ল, শ্যামল মোড়ল, মো. ইমরান, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. নাহিদ ও মো. সাদ্দাম। তাঁদের প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হামলায় আহত মোক্তারুল করিম মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। তিনি বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি কয়েকজনকে নিয়ে বারোতোপা বাজারে যান। পরে একটি কাজে তিনি ওই বাজারে অবস্থিত মাওনা ইউপি কার্যালয়ে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও অনেকে ছিলেন। কার্যালয়ের কাছে পৌঁছাতেই ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। এতে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা আহত হয়েছেন।

সেখানে উপস্থিত শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের ওপর তাঁরা হামলা করেননি; বরং তাঁর বাবা মোক্তারুল করিমের ওপর হামলা করেছেন জাহাঙ্গীর। এতে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হন। হামলার পর স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মী বারোতোপা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ‘আমার জেনেছি সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। এর জেরে চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন হামলা চালান। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমার জানামতে এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।’