টানা দাবদাহের পর রংপুরে গতকাল শনিবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে আকাশে মেঘ, হচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বইছে ঠান্ডা হাওয়া। ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃষ্টিতে রংপুরে জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। সেই সঙ্গে কমেছে লোডশেডিং।
রংপুর আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত একটা থেকে আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত ৬৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আকাশে মেঘ ও বাতাস থাকায় তাপমাত্রা বাড়ার কোনো লক্ষণ নেই।
আজ সকালে রংপুর নগরে টিপটিপ বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে অভিভাবকেরাও ছিলেন। বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে মানুষ।
রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সামনে কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলো। তাঁদের মধ্যে একজন সুলতানা পারভীন। তিনি বলেন, ‘কত দিন পর শান্তি পাওয়া গেল। যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা যাচ্ছে। এর আগে প্রচণ্ড রোদে শরীর পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হতো।’
এদিকে বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও কমে গেছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিকাংশ স্থানে লোডশেডিং খুব কমই হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যেখানে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হতো, সেখানে এলাকাভেদে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিতরণ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনটি সাবস্টেশনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ-২ সাবস্টেশনে আজ দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০ মেগাওয়াট থেকে কমে ২৬ মেগাওয়াট হয়েছে। বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও কমে গেছে। আজ দিনে ২৬ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ১৭ মেগাওয়াট। এতে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা লোডশেডিং হতে পারে।