কনটেইনারবাহী লরির নিচে ঘুমিয়ে ছিলেন ছেলে তন্ময় হোসেন (২১)। তাঁর বাবা লরির চালক মিজানুর রহমান তা জানতেন না। তিনি লরিটি চালিয়ে এগোতেই ছেলের চিৎকার শুনে থামান। কিন্তু এর আগেই সব শেষ হয়ে যায়।
আজ সোমবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লোহাগাছ গ্রামের ভিকার ইলেকট্রনিকস কারখানার ভেতর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিজানুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার হামান কদরী গ্রামে। ছয় মাস ধরে তিনি ছেলে তন্ময় হোসেনকে লরি চালানো শেখাচ্ছিলেন।
ঘটনার পর বিলাপ করছিলেন মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে তিনি বলেন, গতকাল রোববার রাতে চট্টগ্রাম থেকে একটি কারখানার কনটেইনারভর্তি মালামাল নিয়ে রওনা দেন তিনি। সহকারী হিসেবে সঙ্গে ছিলেন ছেলে তন্ময়। আজ (সোমবার) সকালে শ্রীপুরের কারখানাটিতে পৌঁছান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, আজ বিকেলের মধ্যে লরি থেকে মালামাল নামিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। এর আগে কারখানার গেট পাস আনতে ছেলেকে পাঠান। একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। কোন সময় ছেলে এসে লরির নিচে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তা তিনি টের পাননি। মিজানুর রহমান জেগে লরিটি কারখানা থেকে বের করার জন্য চালু করেন। একটু এগোতেই গাড়ির নিচ থেকে চিৎকার শুনতে পান। এরপর গাড়ি থামিয়ে নিচে নেমে দেখেন, চাকার নিচে পিষ্ট হয়েছেন তাঁর ছেলে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক তাজমুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ওই তরুণের মৃত্যু হয়। লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।