পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় একটি হাটবাজারের খাজনা তোলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার কালাইয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য মালিকুল ইসলাম (৪৫), উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন খান (৬৫) ও তাঁর ছেলে জুবায়ের হোসেন খান (২১)। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার অন্যতম বড় বন্দর কালাইয়া হাটবাজারের খাজনা ওঠানো নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেনের অনুসারী কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম আহমেদ (তুহিন) ও পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদারের অনুসারী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধের জেরে আজ সন্ধ্যায় জসিম ও গিয়াস উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির নেতা জসিম আহমেদ ও যুবদল নেতা গাজী গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁরা ব্যস্ত আছেন বলে জানান। সংঘর্ষের জন্য দুজন একে অপরকে দোষারোপ করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে কালাইয়া হাটবাজারের ইজারাদার ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির মোল্লা। ইজারাদার হিসেবে তিনিই খাজনা তুলতেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সমঝোতার ভিত্তিতে যুবলীগ নেতার থেকে বাজার ইজারা নিয়ে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম আহমেদ খাজনা তোলেন।