ইউপি সদস্যের নামে এল তালাকনামা, ভুয়া দাবি করে থানায় জিডি

টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র
টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের নামে উড়ো তালাকনামা এসেছে। ডাকযোগে পাঠানো ওই তালাকনামা ৩ অক্টোবর পান তিনি। এর ১২ দিন পর আজ মঙ্গলবার সকালে সখীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

উড়ো তালাকনামা পাওয়া ইউপি সদস্যের নাম কোহিনুর ইসলাম (৪৭)। তিনি উপজেলার ইছাদিঘী উত্তর পাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে। কোহিনুর বর্তমানে গজারিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য।

তালাকনামা পাঠানো নারীর নাম রত্না আক্তার বলে চিঠিতে লেখা আছে। তাঁর বর্তমান ঠিকানা লেখা আছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায়। আর স্থায়ী ঠিকানা লেখা হয়েছে নরসিংদী সদর উপজেলার শান্তি বাউলা গ্রাম। চিঠিতে মুঠোফোন নম্বরের উল্লেখ না থাকায় তালাকনামা পাঠানো ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে তাঁর বক্তব্যও জানা যায়নি।

ইউপি সদস্য কোহিনুর ইসলাম বলেন, তিনি ২০০১ সালে বিয়ে করেন। তাঁদের নবম শ্রেণিপড়ুয়া এক মেয়ে আছে। তিনি কখনো একাধিক বিয়ে করেননি। রত্না নামের কাউকে চেনেনও না। নরসিংদী ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারেও তিনি কখনো যাননি। শত্রুপক্ষ তাঁকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ভুয়া তালাকনামা তৈরি করেছে। এটা একটা কাল্পনিক, উড়ো তালাকনামা। তিনি আরও বলেন, ‘এমন তালাকনামা দেখে আমার স্ত্রীও বিশ্বাস করছে না।’

গাজীপুর আদালত থেকে এক আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো ওই তালাকনামায় আইনজীবীর নামও অস্পষ্ট। তালাকনামা পড়ে জানা যায়, চলতি বছরের ১ এপ্রিল ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে ১২ লাখ টাকা কাবিনমূলে রত্না আক্তার নামের ওই মেয়ের বিবাহ হয়। কোন কাজী অফিসের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে, সে ঠিকানাও ওই তালাকনামায় পাওয়া যায়নি।

গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন একজন আইনজীবী। তিনি আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, কোহিনুর ইসলাম একজন সহজ–সরল ভালো মানুষ। তাঁকে মূলত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও সম্মানহানি করতে একটি দুষ্টচক্র কাজ করছে।

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল মিয়া আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, জিডির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।