চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য
চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর দুই সদস্য গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’–এর দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসিফ (২২) ও মোহাম্মদ আহাদ (২১)। আজ শুক্রবার বিকেলে কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাঁদের মধ্যে আসাদুজ্জামান পঞ্চগড়ের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। আহাদ পাবনার গোলাম মওলার ছেলে।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠক করার সময় র‍্যাব অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আরও ৫০ থেকে ৬০ জন পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার দুজন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

র‍্যাব কর্মকর্তা মো. শরীফ উল আলম জানান, রাজধানীর গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল–কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন। কিন্তু র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাঁরা ‘শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। বর্তমানে তাঁদের সদস্যসংখ্যা শতাধিক। ‘শাহাদাত’ গ্রুপটি সালাহউদ্দিন নামের এক প্রবাসীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। এই গ্রুপের অন্য সদস্যরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তর, ঢাকা–এর গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৭–এর একটি অভিযানকারী দল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব কর্মকর্তা মো. শরীফ উল আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন, তাঁদের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরাসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকাকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য নির্ধারণ করেছেন বলে জানা যায়। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে নতুন গোপনীয় অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং সংগঠনের সব নির্দেশনা এই অ্যাপসের মাধ্যমে প্রদান করতেন বলে জানা যায়। এ ছাড়া ‘গোরাবা’ নামক একটি অনলাইন গ্রুপে নিয়মিত অনলাইন মিটিংয়ের তথ্যও পাওয়া যায় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে।