রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলমের হাতপাখা প্রতীক খুলে ফেলার অভিযোগ করেছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এ অভিযোগ করেন। আজ শনিবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ফয়সাল হোসেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ করেন।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে ওই প্রার্থীর পক্ষে একজন অভিযোগ জমা দিয়েছেন। যেহেতু ওই প্রার্থী আইন অনুযায়ী নির্বাচনী এখনো এজেন্ট নিয়োগ দেননি। তাই প্রার্থীকে অভিযোগটি আবার ঠিক করে দিতে বলেছেন। তাঁরা এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যরা বারবার বলে আসায় আমাদের দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, রাজশাহীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর প্রচারণার ফেস্টুন বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে তালাইমারী মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত ছিঁড়ে এবং খুলে ফেলা হয়েছে। এমনকি অনেক জায়গায় আমাদের ফেস্টুন খুলে সেই জায়গায় সরকারদলীয় প্রার্থীর ফেস্টুন-পোস্টার লাগানো হয়েছে বা হচ্ছে।’
লিখিত অভিযোগে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, ‘এমন অবস্থা বিরাজমান থাকলে রাজশাহী সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না, তা নিয়ে আমিসহ আমার দলের নেতা-কর্মীরা শঙ্কিত।’
জানতে চাইলে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুরশিদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে তাঁরা ফেস্টুন পড়ে থাকতে দেখেন। অনেক জায়গায় ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলাও হয়েছে। আবার তাঁরা দেখেছেন, অনেক জায়গায় তাঁদের ফেস্টুন খুলে সরকারদলীয় প্রার্থীর ব্যানার লাগানো হয়েছে। এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শঙ্কার।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার কমিটির আহ্বায়ক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন এমন অভিযোগ দিয়ে থাকলে তা ভিত্তিহীন। রাজশাহী শহরকে আমরা যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছি, তাতে অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ছেঁড়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাঁদের নীতিনৈতিকতাতেও এগুলো নেই।’
নৌকা প্রতীকের ফেস্টুন-পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, তালাইমারী মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত তাঁদের অন্তত ২০০ পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা করেছে, এটা এখনো তাঁরা জানেন না। এ বিষয়ে তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। ওই এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। সেগুলো দেখে তাঁরাও আজ বা কাল নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযোগ দেবেন।