বগুড়ায় আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হিরো আলম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় এই মামলা করেন। বগুড়া আদালতের আইনজীবীদের ৮ জন সহকারীকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের মামুন আহম্মেদ (২৬), শাহজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের ঢাকন্তা গ্রামের আবু হাসান (২৮), বগুড়া সদর উপজেলার ফাঁপোড় গ্রামের শামীম হোসেন, গাবতলী উপজেলার বুরুজ গ্রামের নাজমুল ওরফে সবুজ (৩০), বগুড়া সদর উপজেলার উলিপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম (৪২), বগুড়া সদরের কুকরুল গ্রামের সবুজ (৩২), সদরের দোবাড়িয়া গ্রামের উজ্জ্বল (৩১) ও হাজরাদীঘি গ্রামের জাহাঙ্গীর (৪৮)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হিরো আলম ২০১৮ ও ২০২৩ সালে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জাতীয় সংসদ ও উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট গ্রহণের দিন বিগত স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে যুবলীগের কর্মীরা কেন্দ্রে হিরো আলমকে মারপিট ও হত্যার চেষ্টা করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ন্যায়বিচারের আশায় ৮ সেপ্টেম্বর বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলা করার পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের নিচতলার বারান্দায় পৌঁছানোমাত্র আসামিরা ঘিরে ধরে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এর মধ্যে আবু হাসান সরকার হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের মাথা ও বুকে ঘুষি মারেন এবং গলা টিপে ধরেন। নাজমুল হত্যার উদ্দেশে তাঁর পেটে ও পিঠে লাথি মারেন। পরে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মারধরের ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার ছবি বিভিন্ন দৈনিকেও ছাপা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইহান ওলিউল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, হিরো আলম তাঁকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।