জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মচারীদের ধর্মঘট, তালা ভেঙে ঢুকলেন উপাচার্য

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্যদের ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগীয় শর্ত বাতিল করাসহ ১৪ দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নতুন প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। ধর্মঘটের মধ্যেই উপাচার্য মো. নূরুল আলম তালা ভেঙে অফিসে ঢুকেছেন বলে দাবি তাঁদের।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন কর্মচারীরা। পরে বেলা একটার দিকে আজকের মতো আন্দোলন শেষ করে আগামী রোববার আবারও প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব খান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নূরুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এর আগে গতকাল বুধবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে ১৪ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা।

প্রথম আলোকে বিল্পব খান বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে অনেক আগে থেকেই দাবিগুলো জানিয়েছি। প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিল পরের সিন্ডিকেট সভায় দাবি মেনে নেওয়া হবে। তবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও প্রশাসন দাবি মেনে নেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে কর্মসূচি দিয়েছি, তবুও উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। অথচ তিনি তালা ভেঙে অফিসে ঢুকেছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ প্রথম আলোকে বলেন, তালা কাটার সময় প্রক্টরিয়াল টিম, নিরাপত্তা শাখা ও অন্যান্য শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে উপাচার্য স্যার তালা ভাঙেননি। নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা তালা কেটেছিল।

১৪ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নৈশ্যভাতা এবং সব কর্মচারীর ওভারটাইম বেসিক হারে প্রদান করা, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের স্থায়ী করা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত সব সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং, ইউকেন্ডসহ সব ডিগ্রির সার্টিফিকেট আমলে নিয়ে কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, বাসচালকদের ন্যায় বাসের হেলপার, কন্ডাক্টরদের মাসিক ২৫০ ঘণ্টা ওভারটাইম প্রদান করা, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির টাকা ওভারটাইম হিসেবে প্রদান করা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পুরোনো বাসাভাড়া কমানো, হল অ্যাটেনডেন্টদের উৎকালীন (ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকালীন তাঁদের কাজ) ভাতা ১২ শ টাকার পরিবর্তে দৈনিক ২৪০ টাকা হারে ওভারটাইম প্রদান করা, ক্যাম্পাসে একটি নতুন পাবলিক বা প্রাইভেট ব্যাংকের শাখা খোলা ইত্যাদি।