রংপুর-২

‘নৌকার ভোট না করায়’ ট্রাক প্রতীকের সমর্থককে আওয়ামী লীগ নেতার মারধর

রংপুর জেলার মানচিত্র
রংপুর জেলার মানচিত্র

রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিশ্বনাথ সরকারের একজন সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মারধর করেছেন বলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছেনার আলী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠির পাশারীপাড়ার বাসিন্দা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের কর্মী ছেনার আলী নিজ বাড়ি থেকে গতকাল বেলা ১১টার দিকে ডাঙ্গীরহাট বাজারে নির্বাচনী ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। উজিয়াল দীঘিরপাড়ে পৌঁছালে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার সমর্থক হারুন অর রশিদ ওরফে বাবুলের। এ সময় ছেনারকে দেখে গালিগালাজ শুরু করেন হারুন। একপর্যায়ে তিনি ছেনারকে কিল–ঘুষি মারেন।

ছেনার আলী অভিযোগ করেন, ‘আমি তাকে কোনো কথা বলিনি। হঠাৎ বাবুল বলে উঠে যে এই...ছেনার তুই কার ইলেকশন করছো, ট্রাকের? এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে চড়-থাপ্পড়–ঘুষি মারে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার ট্রাকের নির্বাচন করার সাধ মিটাইবে। নির্বাচনের আগেই যেকোনো দিন যেকোনো সময় আমাকে গুম, খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় বাবুলের সহযোগী রেজাউল ইসলাম আমাকে মারধর করে।’

হাড়িয়ারকুঠির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুমারেশ রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলের ৪০ থেকে ৫০ গজ দূরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করছিলাম। তখন কয়েকজন ইউপি মেম্বার এসে আমাকে জানান, ছেনার আলীকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মারধর করেছেন।’

এ বিষয়ে হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই স্থানে ছেনার আলীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে, কথাও হয়েছে। কিন্তু মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।

তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জেনেছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’