কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আম হচ্ছে ফলের রাজা। শুধু গার্মেন্টস নয়, আমও হতে পারে রপ্তানির একটি অন্যতম খাত। রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন উন্নত জাতের আম উদ্ভাবনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেক আম জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে (আম গবেষণা কেন্দ্র) আমের উৎপাদন, বিপণন ও সংরক্ষণবিষয়ক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। এর আগে দুপুরে নাচোলে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মন্ত্রী।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে আম চাষ হলেও আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এখানকার সংসদ সদস্যরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করে আসছেন। আমিও মনে করি, এখানে অবশ্যই একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। তবে কৃষির সঙ্গে প্রযুক্তি মিলিয়ে এখানে কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা গেলে আরও ভালো হবে।’
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিল উদ্দিন আহম্মেদ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার। আম গবেষণা কেন্দ্রের কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য দেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী সভাপতি শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান, এসিআই লিমিটেডের অ্যাগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এফ এইচ আনসারী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে নাচোলের কেন্দুয়ায় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনকারী আমচাষি রফিকুল ইসলামের আমবাগান পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী। এরপর শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত ‘আজান ট্রেডিং করপোরেশন’ নামের আমের কোল্ডস্টোরেজ (বিশেষায়িত হিমাগার) ও ছত্রাজিতপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি পলিনেট হাউস পরিদর্শন করেন।
নাচোলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে। কবরের মধ্য থেকে তাঁরা উঠতে পারছে না। যত সমাবেশই করুক, কবর থেকে আর উঠতে পারবে না।’ তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অবস্থান থেকে সন্ত্রাস মোকাবিলা করবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এবং তা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না। শেখ হাসিনার সঙ্গে জনগণ আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপের দরকার নেই, কোনো সংলাপ হবে না। বিএনপি–জামায়াত যদি আবার সন্ত্রাস করে, তবে এবার তাদের আমরা সমূলে উৎপাটিত করব। ৭১–এ আমরা ভুল করেছি। স্বাধীনতাবিরোধীদের সমূলে উৎপাটন করতে পারিনি।’